“প্যাশন” শব্দটির সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেক রকম। যে কাজটি নিজের মনের মধ্যে থেকে কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি করে এবং ভালোবাসা ও অনুভূতি একই সাথে চলে সেটাই প্যাশন । মাহফুজুর রহমান নিজেকে ক্যানভাসের মাঝে খুঁজে তা চিত্রকর্মের মাধ্যমে ব্যক্ত করতে ভালোবাসেন। আর উনার চিত্রকর্মই উনার কাছে প্যাশন ।
তিনি বলেন, একজন শিল্পী হওয়া মানেই নির্ভীক হাওয়া, আপনার শিল্পকর্মের মাঝে আপনি যা অর্জন করতে পারেন তাঁর কোনো সীমা নেই, এতে নিজের চিন্তা ভাবনার জগৎ অনেক সমৃদ্ধ হতে থাকে। নিজের প্যাশনকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজন নিজস্ব সময়, আমি আমার নিজস্ব সময় গুলোই আমার চিত্রকর্মের প্রতি উৎসর্গ করেছি। আপনি যদি আপনার নিজস্ব চিন্তাভাবনা দিয়ে কখনও এগোতে না পারেন, আপনার প্যাশনও আপনাকে ধীরে ধীরে ভুলে যাবে।
তিনি আরো বলেন, নিজের ইচ্ছেশক্তি কে প্রাধান্য দিয়ে ক্রিয়েটিভ কিছু করা একটা অনন্য অসাধারণ প্রতিভা, আর সেটাই আপনার একান্ত ব্যক্তিগত শিল্প।
বর্তমানে মাহফুজুর রহমান একজন “ব্লেন্ডেড ইম্প্রেশনিজম আর্টিস্ট” হিসেবে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছেন। আগস্ট ২০২১ এ যুক্তরাজ্যের আর্ট লাউঞ্জ কর্তৃক পরিচালিত “আর্টিস্ট অফ দ্য ইয়ার” ইভেন্টে সেমিফাইনালিস্ট হিসেবে নির্বাচিত হন এবং উনার চিত্রশিল্প “দ্য এন্সিস্টর” চিত্র প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে।
উনার চিত্রকর্মের ধারাবাহিকতায় নিজস্ব ওয়েবসাইট “http://www.mahfuzcanvas.com” নামে রয়েছে। তিনি তার পরিকল্পনা সম্পর্কে আরও জানান – “মাহফুজ ক্যানভাস” থেকে তার প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পেইন্টিং প্রকাশ হচ্ছে এবং এর প্রত্যেকটি বিষয়ে তাকে অসম্ভব অনুপ্রাণিত করে, নিজের শৈল্পিক চিন্তাভাবনাকে এত বড় পরিসরে সবার কাছে তুলে ধরা এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা তার কাছে।
উনার সৌখিন পেইন্টিং ক্যারিয়ারের এই ছোট্ট পরিসরে অনেক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে উনার চিত্রকর্মের প্রদর্শনী হয়েছে এবং হচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, যুক্তরাষ্ট্রের আর্ট বেসেল, স্পেক্ট্রাম মায়ামি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওয়ার্ল্ড আর্ট সহ মোট দশটি দেশের বিভিন্ন প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন এবং পুরুস্কার পেয়েছেন।
তিনি আরো জানান- বাংলাদেশের পক্ষে ২০২২ সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিতব্য “ওয়ার্ড আর্ট দুবাই” ইভেন্টের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
বিজনেস বাংলাদেশ/জিসু
Register now to get updates on promotions and coupons.